বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এর আগে তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এবার ওয়ানডেকেও বিদায় বললেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মাহমুদউল্লাহ।
দীর্ঘদিন ধরেই তার অবসর নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা এই তারকা অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন।
মাহমুদউল্লাহ ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিশেষ করে ২০১৫ বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মিডল অর্ডারে তার নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং বাংলাদেশকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। পাশাপাশি অফ-স্পিন বোলিংয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন।
তার বিদায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সতীর্থরা শুভকামনা জানিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহর অবসর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় এক অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনে দিলো। ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছেন।
অনেকেই মনে করছেন, আরও কিছুদিন ওয়ানডে দলে খেলতে পারতেন তিনি। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহমুদউল্লাহ। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি খেলবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাননি।
বাংলাদেশ দলের হয়ে অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্তের নায়ক ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বগুণ, ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের ব্যাটিং ও ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে তিনি কোচিং বা অন্য কোনো ভূমিকায় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
মাহমুদউল্লাহর অবসরের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক যুগের সমাপ্তি হলো। তার অবদান দীর্ঘদিন স্মরণে থাকবে। ভক্তরা তাকে বিদায় জানালেও তার অসংখ্য স্মরণীয় ইনিংস ও মুহূর্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অমলিন থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।