নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার ১৮ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৫:৩১ অপরাহ্ন
নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে হত্যা মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম আজমল হোসেন, যিনি ইরাজ নামেও পরিচিত। তার বয়স ৪৫ বছর এবং তিনি উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের আজাহারের ছেলে। ইরাজ বর্তমানে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলার ওছখালী এলাকার সরকারি দ্বীপ কলেজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ইরাজের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। 


হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, "গ্রেপ্তার ইরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে হত্যাসহ গুরুতর অপরাধ রয়েছে।"


এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তবে তারা ইরাজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর তদন্ত সুষ্ঠুভাবে হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 


হাতিয়া উপজেলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং স্থানীয় জনগণও এই গ্রেপ্তারকে একটি বড় খবর হিসেবে দেখছে। স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার তদন্তে জোর দিয়েছে এবং আগামী দিনে আদালত তার বিচার করবে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সহিংসতা ও অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু তিনি সবসময় রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে নিজেকে শুদ্ধ করে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এবার তার বিরুদ্ধে একটি কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। 


এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। কিছু নেতা তার বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, অন্যরা দাবি করেছেন যে, ইরাজ তার রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে বহুদিন ধরেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। 


এখনো পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইনের আওতায় সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবেন। 


নোয়াখালী জেলার পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া এই নেতার বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং আদালত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।