ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস বিশ্বকাপ ভক্তদের প্রত্যাশা অনুযায়ী শুরু করেছিল টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা টাইগারদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনাল। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে মাশরাফির পারফরম্যান্সকেই দায়ী করলেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে তিনি জানান, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে অধিনায়ক মাশরাফির পারফরম্যান্সের কারণে। ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জয় এবং ১টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট টেবিলে ৮ম স্থানে থেকেই শেষ হয় টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন।
মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মাদ সাঈফউদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান ভালো করলেও তা এই বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল না। মুস্তাফিজ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ৫টি করে উইকেট শিকার করেন। বিশ্বকাপে তার মোট উইকেট ২০টি। এক বিশ্বকাপে ২০ উইকেট শিকারি তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি বোলার। বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার এবং মাশরাফির পারফরম্যান্স ছিল খুবই বাজে। মাশরাফি ৫৬ ওভারে ৩৬১ রান খরচায় শিকার করেছেন মাত্র ১টি উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা খুবই বাজে। তামিম ২৯.৩৭ গড়ে করেছেন মাত্র ২৩৫ রান। ১টি অর্ধশতক রয়েছে।
সাকিব আল হাসান বলেন, আমি সব সময়ই বিশ্বাস করেছি যে এবার অনেক দূরে যাওয়া সম্ভব। হয়তো সবার সাহায্য পেলে আমরা সেমিফাইনালেও চলে যেতাম। অনেক কারণে অনেক সময় সবকিছু ঠিকঠাক হয় না। কোনো খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স ভালো না হলে সে দলের চেয়ে নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবতে শুরু করে। তখন সমস্যা হয়ে যায়। আমার মনে হয়, মাশরাফি ভাইয়ের ক্ষেত্রেও এটাই ঘটেছে। যেহেতু অধিনায়ক পারফর্ম করছিল না, এটা বড় সমস্যা। তার জন্যও, দলের জন্যও। অধিনায়ককে পারফর্ম করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। ওই জায়গাটাতে আমরা অনেক বেশি পিছিয়ে গেছি। তারপরও অসম্ভব ছিল না। বিশ্বকাপে আমরা শুরুটা করি খুবই ভালো। কিন্তু পরের দিকে তা ধরে রাখতে পারিনি।
বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রেকর্ড ৭টি পঞ্চাশোর্ধ রান করে শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের লিটল মাস্টার। একই সাথে শচীন এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেনের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০ এর বেশি রান করেন সাকিব। পাশাপাশি ১১টি উইকেটও শিকার করেন এ বামহাতি অলরাউন্ডার। ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ এর বেশি রান এবং ১০টিরও বেশি উইকেট শিকারের গৌরব অর্জন করেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিব।
মাহমুদউল্লাহ এবং তাকে (সাকিব) জড়িয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল গণমাধ্যমে। ওই সংবাদে বলা হয়েছিল, মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন সাকিব। এই নিয়েও কথা বলেছেন বাংলদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সাকিব বলেন, এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। যে এই বিষয়টা বলেছে বা এই সংবাদ করেছে, তিনি কাজটা ঠিক করেননি। বিশ্বকাপের সময় সাইফউদ্দিনকে নিয়ে একটা সংবাদ ছাপা হলো। ও নাকি বড় দলের বিপক্ষে ভয়ে খেলে না। এসব খবর কি দলের জন্য ভালো? দলে যারা ছিল তারা জানে এই নিউজ কে করিয়েছে। সাইফউদ্দিন কি খেলেনি? একটা দলকে মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার জন্য এসবই যথেষ্ট।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।