বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আজ দুপুর নাগাদ ঘোষণা করেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ সদস্যের দল। তবে দলের বাইরে রাখা হয়েছে তারকা ক্রিকেটার লিটন দাসকে, যার বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান নির্বাচক বলেন, লিটন দাসের ওপর আস্থা হারানো হয়েছে, যে কারণে তাকে স্কোয়াডে জায়গা দেওয়া হয়নি। তবে লিটন তার বাদ পড়ার দিনে ব্যাট হাতে যেন বড় জবাব দিলেন।
আজ রোববার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিপিএলের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান লিটন। ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে তিনি মাত্র ৪৪ বলে প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড তার নামের পাশে উঠে এসেছে। বিপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি হিসেবে লিটন এ অর্জন করেছেন, যা ২০১২ সালে ক্রিস গেইলও ৪৪ বলে করেছিলেন। তবে বিপিএল ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি ৪০ বলে এসেছে, যা অর্জন করেছিলেন শেহজাদ আহমেদ।
লিটন দাসের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল বেশ উজ্জ্বল, তবে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের স্থান পাকা করতে পারেননি। ২০২৪ সালে ওডিআই সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি দলের বাইরে ছিলেন। আবারও যখন ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুযোগ পান, তখনও ব্যাট হাতে রান পাননি। ফলে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তাকে বাদ দেওয়ার গুঞ্জন ছিল। বিসিবির দল ঘোষণা হওয়ার পর তার বাদ পড়া নিশ্চিত হয়ে যায়।
তবে লিটন দাস নিজের স্কোয়াডে না থাকার দিনে সিলেটে বিপিএলে রাজশাহীর বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। শুরু থেকেই তিনি রাজশাহীর বোলারদের ওপর আগ্রাসী হয়ে উঠেন। ২৪ বলে অর্ধ-শতক পূর্ণ করে পরবর্তী সময়ে আরো দ্রুততার সাথে সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার এই বিস্ফোরক ইনিংস দল থেকে বাদ পড়ার দিনটির সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তে পরিণত হয়। পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে তার নাম ডাক শোনা যায়, যেন এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি।
এদিন লিটনের সেঞ্চুরির মাধ্যমে তিনি কেবল নিজের দক্ষতা ও সামর্থ্য প্রমাণই করেননি, বরং জাতীয় দলের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ও আত্মবিশ্বাসও ব্যক্ত করেছেন। ক্রিকেটপ্রেমীরা তার এই ইনিংসের মাধুর্য মনের মধ্যে ধরে রাখবেন, যা ক্রিকেটের বাস্তবতা ও লিটন দাসের অসীম সম্ভাবনাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।