মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বরিশালে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এ সময় সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৬টায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে এবং সকাল সোয়া ৭টায় ত্রিশ গোডাউন এলাকার বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এতে অংশ নেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. রায়হান কাওছার, ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সর্বস্তরের জনগণ।
এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদ এডিসি কাজী আজিজুল ইসলামের কবর জিয়ারত ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
সকাল ৯টায় ঐতিহাসিক বেলস্ পার্কে বিভাগীয় কমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ১০টায় একই স্থানে চারু ও কারুশিল্প মেলা এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা শিশু একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
১৫ ডিসেম্বর রাত থেকেই শহরের সরকারি-বেসরকারি ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে বিজয় উৎসব এবং পরদিন রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র প্রদর্শনী এবং প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।