ভূরুঙ্গামারীতে বিজয় দিবসে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে বিজয় দিবসে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


সোমবার ভোরে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহিন শিকদারের সমর্থক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কলেজ মোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এসময় ৯ জন আহত হন। 


আহতরা হলেন ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার এলাকার মাইদুল ইসলাম শেখ, ওমর ফারুক, আইয়ুব আলী, কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে সোহেল, আব্দুল্লাহ আল লিমন, ইয়াকুব আলী ও বাগভান্ডার এলাকার আব্দুর রহমান। পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ এলাকার সেলিম মিয়া ও তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরের স্বদেশ শিকদার। সোহেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহিন শিকদার বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী ফুল নিয়ে যায়। কিন্তু জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের শতাধিক লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্মৃতিস্তম্ভে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করে। পরে তারা আরও সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ মোড়ে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা কয়েকজন স্থানীয় সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেবো।


জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা বলেন,  চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। তেমন কিছু জানি না। ফরিদুল হক শাহিন শিকদার বিএনপি থেকে বহিস্কৃত। সে বিএনপির কিছু না।


ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মারামারির ঘটনায় কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে অফিসিয়াল নম্বরে কল দেয়া হয়। তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।