কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার গ্রামে এক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘটিত পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে, যেখানে মঈনুদ্দিন (৩২) নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর হাতে গলা কাটা অবস্থায় গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও আটক করেছে।
জানা গেছে, মঈনুদ্দিন এবং সোমা খাতুনের মধ্যে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল। তাদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল এবং গত ৪ ডিসেম্বর মঈনুদ্দিন সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরলে তাদের মধ্যে ঝগড়া আরও তীব্র হয়ে ওঠে। শনিবার রাতে তারা সোমার বড় বোনের বাড়ি বাগভান্ডার গ্রামে বেড়াতে যান, সেখানে আবার তাদের ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়া হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ালে এক পর্যায়ে সোমা ব্লেড দিয়ে মঈনুদ্দিনের গলায় আঘাত করেন।
মঈনুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা পারিবারিক কলহের কারণে এই ঘটনা ঘটে। তারা দাবি করেন, মঈনুদ্দিনের স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মঈনুদ্দিনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অপরদিকে, অভিযুক্ত স্ত্রী সোমা খাতুন জানান, মঈনুদ্দিন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এবং ঘটনার রাতে তিনি নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্লেড দিয়ে আঘাত করেছেন।
এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মঈনুদ্দিনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।