
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ৪:৫০

ময়মনসিংহে এক রহম্যময় লাগেজে পাওয়া যায় মাথা ও হাত-পাবিহীন দেহ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমে ভেবেছিল বোমা। সারারাত লাগেজটি ঘেরাও করে ভোরে পাওয়া গেল খণ্ডিত মরদেহ। সেই লাগেজ থেকে তদন্তে বেরিয়ে এল নারী নীপিড়ন, প্রতিশোধ আর খুনের চাঞ্চল্যকর রহস্য। পুলিশ জানায়, লাগেজে পাওয়া যাওয়া মরদেহের অংশ পাওয়া যায় কুড়িগ্রামের ডোবায়। খুন হওয়া এ যুবকের নাম মো. বকুল (২৮)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার উপজেলার হুগলা এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
তিনি জানান, ২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের পর তার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার ওপর দেওয়া হয়। মামলাটি তদন্তকালে কুড়িগ্রামে খণ্ডিত দেহাংশের সঙ্গে নারীদের হাতব্যাগে পাওয়া চিরকুটের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ময়মনসিংহ ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে একটি দল। মঙ্গলবার গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীসহ ওই চারজনকে আটক করে ডিবি।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা জানায়, বোনকে উত্ত্যক্তের জেরে তারা বকুল নামে ওই যুবককে হত্যা করেছে। এর আগে ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম এলাকার শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের কাছ থেকে উদ্ধার হয় হাত-পা ও মুণ্ডুহীন মরদেহ। একইদিন ও পরদিন কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট থেকে উদ্ধার হয় দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হাত, পা ও মাথা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব