
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ৪:১৪

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসানকে এক তরুণীসহ আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জেলা মহিলা পরিষদের সহযোগিতায় রংপুর মহানগরীর বনানীপাড়ার এক বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে তাদের ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরানায় বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে ওই অভিযান চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এপিবিএনে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসানকে নগরীর বনানীপাড়ার একটি বাড়ি থেকে এক তরুণীসহ আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী। তারপর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে জেলা মহিলা পরিষদ, পারিবারিক ও পুলিশের একটি সূত্র জানায়, থানায় আটকের পর গভীর রাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে কাজী ডেকে আনা হয়। পরে তাদের থানার পাশে জেলা পুলিশের মালিকানাধীন একটি হোটেলে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। তবে কাজীর খাতায় রেজিস্ট্রি দেখানও হয় ২১ অক্টোবরের (ব্যাক ডেটে)।

তিনি জানান, বিয়ে পড়ানোর সময় আমাদের কোনো প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আমরা একটি নারীর অসহায় মুহূর্তে তাকে সহযোগিতা করেছি। এভাবে মহিলা পরিষদ অসহায় নারীদের পাশে আছে এবং থাকবে।
এ ব্যপারে রোকসানা পারভীন বলেন, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে আমার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু আমাকে বিয়ে করছিলেন না। একপর্যায়ে আমি মহিলা পরিষদের স্মরণাপন্ন হলে তাদের সহযোগিতায় আমাদের একটি বাসা থেকে থানায় আনা হয়। আমাদের বিয়ে দেয়া হয়।
তিনি জানান, আমাকে যেন স্ত্রীর মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়, সেটা আমি চাই। যাতে আমি আর কোনোভাবে প্রতারিত না হই। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আলতাফ হোসেন জানান, বিষয়টি থানা অবহিত। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব