
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ৫:৫৫

রাজনীতি বা রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে ও ছিলেন এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন ।শুধু সময়ের সাথে সাথে আমূল পরিবর্তন হয়েছে পদ্ধতির ।পরিবর্তনের পদ্ধতিটা একটু বেশি ভিন্ন বর্তমানে।সুস্থ রাজনীতি সমাজ গঠন বা দেশ গঠনের পরিপূরক।রাজনীতি করতে দরকার হয় যোগ্য নেতা , আর নেতার দরকার আনুগত্য কর্মীর।যা আগে ছিল বলে জানা যায় , আর এখন এসব কিছু দরকার হয় না, দরকার হয় শুধু 'টাকার'।তাই এই কথা বা প্রথা টা থেকে বের হয়ে আসতে দরকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।তিনি পারেন তার দলীয় কমিটি প্রদানকারী সিন্ডিকেট গুড়িয়ে দিতে।দরকার সকল কমিটি বাণিজ্যের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে চিরতরে ডুবিয়ে দেওয়া।এতো নেতা এতো কর্মীর দরকার নেই।দরকার যোগ্য নির্লোভ নেতা এবং ত্যাগী কর্মীর
।ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগ সব লীগ বেচা কেনা হয় মাথা হিসেব করে।আর যারা কিনেন এই 'পোস্ট' তাঁরা জনগণের মাথার উপর কাঁঠাল ভেঙ্গে দেশের সম্পদ লুট করে নিজের সিন্দুক ভরেন। এই কমিটি বাণিজ্যের অপকর্মকারীরা সরকারের ভালো কাজগুলোকে ডুবিয়ে দেয়।এটা সব সরকারের বেলাতে ঘটেছে।তাই সময় এসেছে সরকারের ভালো কর্ম গুলো মানুষের কাছে পৌছে দিতে টাকার বিনিময় নেতা সৃষ্টি না করা।যোগ্য এবং প্রতিযোগিতার ভিতর থেকে সঠিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করা।একই বিষয় প্রথা হিসেবে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এখন সময়ের দাবী ।

সবার আগে দেশ , আর এই দেশ পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলের। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগনের ভোটের মাধ্যমে যখন কোন রাজনৈতিক দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান সেই রাজনৈতিক দলের দলীয় নীতিনির্ধারকরা যদি সৎ এবং কর্মঠ এবং নিষ্ঠাবান না হন তবে দেশের ভবিষ্যত কোন অবস্থাতেই আলোকিত হওয়ার সুযোগ নেই।এখনই যদি সংকট নিরসনে এগিয়ে আসা না যায় তবে কখনওই এই দেশ আলোর মুখ দেখবে না।আমাদের প্রত্যাশা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত ধরেই সূচিত হোক নব দিগন্ত।দেশ ফিরে পাক সুস্থ রাজনীতি এবং রাজনীতি বোধ।