
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৫৪
জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও প্রকাশের পর তাকে ওএসডি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ খবর জানাজানির পর থেকেই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক (পিয়ন) সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাকে নিয়ে কথা বলতে ডিসি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাহসী হতে শুরু করেছেন। যারা ভয়ে এতদিন আহমেদ কবীর ও তার শয্যাসঙ্গিনী নিয়ে কোনো কথা বলেননি, তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সঙ্গে দেখা করেন সাধনা। সে সময় সাধনার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেন ডিসি আহমেদ কবীর। পরে উন্নয়ন মেলা চলাকালে আহমেদ কবীরের সঙ্গে শখ্য আরও গভীর হয়। একপর্যায়ে সে শখ্য রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। সম্প্রতি সেই অবৈধ সম্পর্কের একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল হয়। তারপর থেকে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হন তারা।
যেভাবে চাকরি পান সাধনা:
কে এই সাধনা?
২০০৯ সালে মারা যান সাধনার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর তার পালক পিতামাতার সঙ্গে জামালপুর শহরের বগাবাইদ গ্রামে বসবাস শুরু করেন। পরে টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পালিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সাধনার ঊশৃঙ্খল জীবনযাপন ও অবাধ চাল-চলনের কারণে টেকেনি দ্বিতীয় বিয়েটিও। দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তিনি নিজ ঘরেই দোকান দিয়ে বিক্রি করতেন দেশি-বিদেশি প্রসাধনী। সেই ব্যবসাতেও টিকতে না পেরে শুরু করেন হস্তশিল্পের ব্যবসা। ২০১৮ সালের উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নিয়েই ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে গড়ে সম্পর্ক।
‘ছায়াডিসি’:

সাধনার মাথায় চুল নেই:
সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সাধনা!
ইনিউজ ৭১/এম.আর