প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২১, ২:৩৬
সরাইলে প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের হার আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশী। করোনা ভয়ঙ্কর আকার ধারন করছে দিনকে দিন। লাশের মিছিলে যোগ হচ্ছে নিত্য নতুন সংখ্যা।কিছুতেই থামছে না মৃত্যুর মিছিল।সবাই যেন করোনার কাছে অসহায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বার বার অনুরোধ করার পরও মানুষ কেন যেন উদাসীন। সাধারণ মানুষ মাস্ক পড়তেই আগ্রহী নয়।
অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি তো অনেক দুর। প্রচার - প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসনের পক্ষে থেকে। তার মধ্যে সরাইল উপজেলা স্বাস্হ্য বিভাগে করোনা ভাইরাস এর নমুনা পরিক্ষা করে পজিটিভ হলেও তাদের কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা বা আইসোলেশন নিশ্চিত লক্ষ্য করা যায়নি।
এমন চিত্র ২৭ জুলাই দুপুর বারটা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মেয়ের করোনা পরিক্ষা রিপোর্ট দিতে দেখা যায় এবং রিপোর্টের কাগজে লাল সিল মারা পজেটিভ লেখা আছে। করোনা শনাক্ত কাগজ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে সে ঘুরাঘুরি করছে আবার গাড়িতে উঠছে কেউ, কোন কিছুই বলে নাই ।
এ সময় হাসপাতালের কর্মরত কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী দাড়িয়ে এ দৃশ্য দেখার পর জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলে আমাদের কাছে রেকর্ড আছে। তাদেরকে আইসোলেশন এর ব্যবস্থা করা হবে পরে।
সরাইলের রাস্তাঘাটে অবিরাম টহল দিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদেস্যরা।প্রতিনিয়নত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে।কিন্তু কে শুনে কার কথা।ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলে গেলেই পূর্বের অবস্থা।যেই সেই।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই ) সরাইল উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন,সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল হক মৃদুল। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় ৫ জনকে (৬০০০) টাকা জরিমানা করেন।
সরাইলের রাস্তাঘাটে অবিরাম টহল দিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদেস্যরা।প্রতিনিয়নত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে।কিন্তু কে শুনে কার কথা।ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলে গেলেই পূর্বের অবস্থা।
এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতনতার জন্য প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি এবং বিভিন্ন ভাবে যারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাক্স ব্যবহার না করে, অযথা বাহিরে ঘুরাঘুরি করছে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেওয়া হচ্ছে।
যারা করোনা পরিক্ষায় পজিটিভ হবে,তারা অবশ্যই আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং তারা নিজেদেরকে নিজেরাই সচেতন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। সরকারি নির্দেশনা না মানায় আজ পাঁচ জন কে অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো.নোমান মিয়া বলেন,নমুনা পরিক্ষা করার পর করোনা শনাক্ত বা পজিটিভ হলে, তাদের জন্য তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত আছে।তারা তাদের চিকিৎসা ওআইসোলেশন ব্যবস্থা করবে। হাসপাতালে একটি রুম রয়েছে।
তিনি বলেন, রুমে না গিয়ে অনেক সময় তারা এ রিপোর্ট নিয়ে চলে যায়, আজ এমন শুনেছি। তারপর মাঠ পর্যায়ে তিন জনের কমিটি রয়েছে, তারা সব সময় তাদের আইসোলেশনের বিষয়টি আমাদেরকে নিশ্চিত করবে। আমরা তাদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা সবাই সচেতন হতে হবে। সচেতনতাই সুরক্ষা।