করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় নওগাঁ জেলা জুড়ে ১৫ দফা বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এ বিধিনিষেধ বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলার করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে ১৫ দফা বিধিনিষেধ আগামী ২৩ জুন মধ্যরাত বর্ধিত করা হলো।
এর আগে ৯ জুন নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭দিনের বিশেষ লকডাউন তুলে নিয়ে জেলা জুড়ে ১৫ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
১৫ দফা বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে চায়ের স্টল বন্ধ থাকবে। হোটেল রেস্তোরাঁ শুধু পার্সেলের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে পারবে।
তবে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় হলে তাৎক্ষণিক দোকান, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে। জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউিনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিবাহ অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
করোনা আক্রান্ত বাড়ি পুরোপুরি লকডাউন করতে হবে এবং বাড়ির সকল সদস্য লকডাউনে থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবে ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সমসংখ্যক ব্যক্তি প্রার্থনা বা উপাসনা করতে পাবরে।
এছাড়া অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারবে না। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও ভারত সীমান্তের সাপ্তাহিক হাটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বিধি নিষেধে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী এই দুই জেলার সাথে সকল যাতায়াতের পথ বন্ধ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
১৫ দফা বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এই বিধিনিষেধ মানা না হলে বিধিমোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নওগাঁয় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুইজনের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদরে।
এছাড়াও একই সময়ে ১২৫ জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ২৪ ঘন্টায় জেলায় শনাক্তের হার ২১.৮১% শতাংশ। এনিয়ে জেলায় এই পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১৬১ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। আর সুস্থ্য হয়েছেন ২ হাজার ২৬২ জন।
বুধবার (১৬ জুুন) দুপুরে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডাঃ এ,বি,এম, আবু হানিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, র্যাপিড এন্টিজেন ২৬২ জনের পরীক্ষার বিপরীতে ৬২ জনের, আরটিপিসিআর থেকে ৩১১ জনের নমুনার বিপরীতে ৬৩ জনের দেহে এই করোনা শনাক্ত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।