নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভারতফেরত এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তার বয়স সাতাশ বছর। তার বাড়ি উপজেলার তারাব পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বরপা এলাকায়। জেলা করোনা বিষয়ক কর্মকর্তার ধারণা, এটি করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।
বুধবার (১২ মে) উপজেলার তারাব এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে তার নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়। পরিবারের বাকি সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য লাল পতাকা টানিয়ে পুরো বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূরজাহান আরা খাতুন বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি বিধায় বাড়িটি পুরোপুরিভাবে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি গত কয়েক বছর ধরে ভারতের চেন্নাইতে কাজ করতেন। সেখানে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তিনি গত ৯ মে চোরাই পথে অবৈধ পন্থায় সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি বিমানে আখাউড়া পর্যন্ত আসেন। সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ১০ মে থেকে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়।
ওইদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১১ মে রাতে তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে সকালেই উপজেলা প্রশাসন ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই যুবকের বাড়ি লকডাউন করে দেন। একই সাথে তার পরিবারের সবার হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়। ওই যুবক ও তার পরিবারের কোন সদস্য ঈদ জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ ব্যাপারে জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ভারতের চেন্নাই থেকে ফিরে আসা এক বাংলাদেশির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। প্রয়োজনে যে কোনো সময় তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে পুরো বাড়ি লকডাউন এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম আরও জানান, করোনা আক্রান্ত ভারত ফেরত ওই ব্যক্তির দেহের করোনা ভাইরাস ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিনা তা পরীক্ষা করা হয়নি। তিনি বলেন, যেহেতু ভারতে ছিলেন তাই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। তিনি বলেন, আমরা আইইডিসিআরকে জানাব। তারা যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে পরীক্ষা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।