যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করার অভিযোগে ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাইডেন প্রশাসনের ঘোষণার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় রয়টার্স। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলো হল ইউএস অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, মাস্ক ট্রান্স, টিএসএমডি গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং ফুত্রেভো।
ইউএস অ্যাসেন্ড অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড গত মার্চ থেকে আগামী মার্চের মধ্যে রাশিয়াভিত্তিক সংস্থাগুলোতে ৭০০টিরও বেশি চালান পাঠিয়েছে। এসব চালানে ২ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ আইটেমসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে উৎপাদিত বিমানের উপাদানও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অন্যদিকে, মাস্ক ট্রান্স ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়ার এস ৭ ইঞ্জিনিয়ারিং এলএলসিকে ৩০০,০০০ ডলারেরও বেশি মূল্যের বিশেষ প্রযুক্তি সরবরাহের সাথে যুক্ত রয়েছে।
টিএসএমডি গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে, যা রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৪৩০,০০০ ডলার মূল্যের প্রযুক্তি পাঠিয়েছে। এছাড়া, ফুত্রেভো নামক প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি কেন্দ্রের সাথে ১.৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের প্রযুক্তি সরবরাহে জড়িত।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মার্কিন সরকারের এই পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান নিষেধাজ্ঞার চাপকে আরও জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছে, যেখানে চীন, হংকং এবং ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও অন্যান্য দেশের ব্যক্তিদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ দফায় মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ২৭৪, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১২০টির বেশি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪০টির বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, যা ইউক্রেন সংকটের তীব্রতার ওপর নির্ভরশীল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।