কাউখালীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গরুর হাট, ক্রেতা কম

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৈয়দ বশির আহম্মেদ, (জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর)
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৪ই জুন ২০২৪ ০৮:২৯ অপরাহ্ন
কাউখালীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গরুর হাট, ক্রেতা কম

পিরোজপুরের কাউখালীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গরুর হাট। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপজেলা সদরের কাউখালী সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে ১৪ জুন শুক্রবার কাউখালী হাটের দিনে জমে উঠেছে পশুর হাট। পুরোদমে চলছে গরু ও ছাগলের বেচাকেনা। 


কাউখালী উপজেলা সহ আশেপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ঐতিহ্যবাহী কাউখালী সদরে গরুর হাটে ব্যাপারীরা ও স্থানীয়রা গরু বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে এসেছে। উল্লেখ্য কাউখালী হাট বাজারের খাজনা স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেওয়ার ফলে খাজনা বিহীন বাজারে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। 


শুক্রবার সকাল দশটায় কাউখালী সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে গরুর হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা হাফেজ মাসুম বিল্লাহ জানান, ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কুরবানী পশু কিনতে হাটে এসেছেন। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার সহ পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া ও রাজাপুর উপজেলায় গরু কিনতে হাটে গিয়েছিলেন তিনি। 


তার মনের মতন ও চাহিদার ভিতরে দাম না থাকার কারণে গরু কিনতে পারেনি তাই আজকে কাউখালী বাজার থেকে তার পছন্দমত একটি গরু ক্রয় করেছে এক লক্ষ দশ হাজার টাকায়। ক্রেতা মাসুম বিল্লাহ জানান, গতবছরের তুলনায় দাম তার কাছে একটু কম মনে হল। গরু কিনতে আসা বাবুল ডিলার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ বছর অনেকেই কুরবানী দিতে পারবে না বলে তার ধারণা। কারণ ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 


তিনি পছন্দমত একটি গরু ক্রয় করেছেন, দাম তার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। গরু বিক্রেতা উপজেলার শীর্ষ গ্রামের নুরুজ্জামান বলেন আমি একটি গরু বাজারে এনেছি তার দাম চেয়েছি ৫ লক্ষ টাকা, বাজারে দাম উঠেছে মাত্র ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। গরুর পিছনে আমার যে খরচ হয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেও তার লাভ হবে না। কারণ গরুর খাবারের অতিরিক্ত দাম। উপজেলার গান্ডুতা গ্রামের খামারি মোঃ হেলাল উদ্দিন ২০ টি গরু কোরবানির জন্য তৈরি করেছে, এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি গরু বিক্রি করেছে। 


উপজেলা সদরের উজিয়াল খান গ্রামের উত্তম মৃধা কোরবানির জন্য ১৫ গরু তৈরি করেছেন, এখন পর্যন্ত মাত্র দুইটি গরু বিক্রি করতে পেরেছে। খামারিরা বলেন গরুর পিছনে আমাদের যে পরিশ্রম ও অধিক মূল্যে খাবার কিনতে হয় তা দিয়ে আমাদের পক্ষে গরু লালন পালন করা সম্ভব না। আমরা এখন হতাশার ভিতর দিন কাটাচ্ছি। লাভের আশা দেখছি না। বাজারে দেশিয় গরুর সংখ্যা বেশি। 


উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শিশির কুমার রায় বলেন, হাটের দিনে আমরা তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রেখেছি। এদিকে হাটবাজার পরিদর্শন করেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির, কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।