প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৬
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট এবং নিয়মিত শিপিং সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে এবং পণ্য পরিবহণ ও বিনিয়োগ সহজতর হবে।
সফরের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় আসেন। তার সফরের সময় বাণিজ্য ও শিল্প খাতের উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক, কৃষি খাতের সহযোগিতা এবং বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছেন।
ঢাকা-করাচি বাণিজ্যিক সংযোগ সম্প্রসারণের উদ্যোগ সম্প্রতি চট্টগ্রাম সফরে আলোচিত হয় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিনের মধ্যে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সফররত অতিথিদের স্বাগত জানান।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সরাসরি ফ্লাইট ও শিপিং সেবা পুনরায় চালুর পাশাপাশি বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশন প্রসারিত করার প্রস্তাব দেন। তারা বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো স্থাপনের জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।
আলোচনায় খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, চামড়া এবং অপরিহার্য পণ্যের খাতগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা চিহ্নিত করা হয়। আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার সুযোগও আলোচ্য হয়।
জাহাজ শিল্পে সহযোগিতা প্রসঙ্গে জাম কামাল এবং বশিরউদ্দিন চট্টগ্রামের কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করেন। সেখানে জাহাজ নির্মাণ, ভাঙা এবং পুনর্ব্যবহার শিল্পে বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথভাবে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়ে ব্রিফিং হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সফরের সময় বন্দরের ইতিহাস, কার্যক্রম এবং চলমান প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন। এতে বাণিজ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যৌথ উদ্যোগ ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্যিক সংযোগ আরও দৃঢ় হবে।