ধামইরহাটে বড়দিন উদযাপন: খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে উপহার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আবুমুছা স্বপন, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:২৭ অপরাহ্ন
ধামইরহাটে বড়দিন উদযাপন: খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে উপহার বিতরণ

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বেনীদুয়ার ধর্মপল্লীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। উৎসব উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলার বেনীদুয়ার ক্যাথলিক চার্চে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তিনি চার্চ প্রাঙ্গণে উপস্থিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।


পরে ধর্মপল্লীর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময়ের মাধ্যমে ধর্মীয় উৎসবের আবহ আরও মধুর হয়ে ওঠে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান উৎসবের বিশেষ অংশ কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করেন।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সামসুল ইসলাম, বেনীদুয়ার চার্চের ফাদার মাইকেল কোড়াইয়া, সিস্টার লিমা গমেশ, মার্তিনা কিচকু, রিনা মার্ডি এবং ধামইরহাট প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক রাজু।


সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অরিন্দম মাহমুদ, মুমিনুল ইসলাম ও রেজুয়ান আলম। শুভ বড়দিনের আয়োজনকে কেন্দ্র করে ধর্মপল্লীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।


চার্চের ফাদার মাইকেল কোড়াইয়া বলেন, “ধর্মীয় সম্প্রীতির এই উদাহরণ আমাদের সমাজকে আরও শক্তিশালী করে। প্রশাসনের সহযোগিতা আমাদের উৎসবকে আরও সুন্দর করেছে।”


শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত সিস্টার লিমা গমেশ বলেন, “বড়দিনে এমন আয়োজন এবং প্রশাসনের উপহার সামগ্রী আমাদের সবার জন্য আনন্দের।”


প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, “সব ধর্মের মানুষের মাঝে শান্তি, ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। সবাই মিলে কাজ করলে সমাজ আরও সুন্দর হবে।”


বড়দিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে পল্লীতে বসবাসরত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বড়দিনের আলোচনায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা এবং তাঁর আত্মত্যাগের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়।


এ উৎসব উপলক্ষে চার্চ প্রাঙ্গণটি সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায়। ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে পুরো অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় হয়ে ওঠে।