চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাহাজে হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি -চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাহাজে হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার ১

চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে র‌্যাব-১১ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।  


র‌্যাব জানায়, ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার আটজনের সঙ্গে তিনি জাহাজে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দুপুর ১২টায় কুমিল্লায় র‌্যাব-১১ এ বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিং করবে।  


সোমবার রাতে জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ অজ্ঞাতদের আসামি করে হাইমচর থানায় মামলা করেন। হাইমচর থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন সুমন জানান, মামলাটি ৩৯৬/৩৯৭ ধারায় দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তের দায়িত্ব হরিণাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে দেওয়া হয়েছে।  


খুনের শিকার সাতজন হলেন মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী ও বাবুর্চি রানা কাজী। আহত সুকানী মো. জুয়েল (২৮) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  


মামলার এজহারে বলা হয়েছে, আহত জুয়েল গুরুতর অবস্থায় কথা বলতে না পারলেও ইশারায় জানায় যে ইরফান নামে একজন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পুলিশ একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে।  


মঙ্গলবার বিকেলে নিহত ছয়জনের মরদেহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। তবে বাবুর্চি রানা কাজীর পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকায় তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি।  


এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শিল্প মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।