দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’তে রূপ নিতে পারে। সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া পরিস্থিতি মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে এবং বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে, যা ভারত ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, এই লঘুচাপটি ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে চলেছে। আশা করা হচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড়টি ২৩ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানবে। এই সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, এবং দমকা হাওয়া ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
বিশেষ করে, যদি এই ঘূর্ণিঝড়টি জোয়ারের সময় আঘাত হানে, তবে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, ভাটার সময় আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ২ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) ইতিমধ্যেই লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং পরে বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরে ২৪ অক্টোবর সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, "ঘূর্ণিঝড় ডানা ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানতে পারে, তবে এর গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশেও আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে।"
সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে যাতে এই বিপর্যয়ের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সাধ্যমতো প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এভাবে, বঙ্গোপসাগরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে গেছে, এবং এই ঘূর্ণিঝড়টি যে দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তা স্পষ্ট। জনগণের নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির দিকটি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।