বরিশালে মার্কেটে ঝুলছে তালা, বিপাকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার ১২ই জুলাই ২০২১ ০৫:২৪ অপরাহ্ন
বরিশালে মার্কেটে ঝুলছে তালা, বিপাকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

দেশে দিন দিন বেড়ে চলছে করোনা সংক্রমন ও মৃত্যুর সংখ্যা। সমগ্র দেশের সাথে বরিশালেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বিস্তাররোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লক ডাউনে বন্ধ রয়েছে দোকান-পাট। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা। দেশে করোনা সংক্রমনরোধে বিভিন্ন সময় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। 




ইতোমধ্যে লোকসানের আশংকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। কেউবা কোনমতে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন। ভবিষ্যতে এসকল ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা কিভাবে টিকে থাকবেন তা নিয়ে চিন্তিত তারা। এ অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের কাছে প্রনোদনা বা ঋণ সুবিধার আওতায় আনার দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। 






বরিশালে লকডাউন কার্যকরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের পাশাপাশি বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ফলে নগরীর প্রায় শতভাগ মার্কেট, বিপনি-বিতান বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন যে সব মার্কেটে লোক সমাগম হতো এখন সড়কে তেমন একটা লোকজন দেখা যায় না। 





প্রতিটি মার্কেটে তালা ঝুলছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সড়কে লোকজনের সমাগম কম থাকায় কাঁচাবাজার ও মুদী মনোহরী দোকানগুলোতেও রয়েছে ক্রেতা সংকট। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ওই সকল ব্যবসায়ীরা। 





এদিকে বেচা বিক্রি কম হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে এসকল ব্যবসায়ীদের দেনার পরিমান। সরকার প্রনোদনা ঘোষণা করলেও সুবিধা পাননি তারা। নগরীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, গত এক বছরে করোনার কারণে এমনিতেই তারা লোকসানে রয়েছেন। 




এখন পর্যন্ত ওই লোকসান কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেশে ফের করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে এবার তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে।





ফুটপাতের আম বিক্রেতা আমির জানান, পূর্বে তিনি চায়ের দোকান চালালেও লকডাউনে তা বন্ধ রাখতে হয়। এজন্য ধার দেনা ও এনজিও থেকে ঋণ এনে আমের ব্যবসা শুরু করেছেন। চলমান লক ডাউনের কারনে তার ব্যবসার অবস্থা তেমন একটা ভালো যাচ্ছেনা। বাজারে কোন লোকজন নেই। আড়ৎ থেকে যে আম বিক্রির জন্য তিনি ক্রয় করেছেন তা খুচরা মূল্যে বিক্রি করতে না পারায় পচে যাচ্ছে। 




আরেক আম বিক্রেতা রিয়াজ ফকির জানান, এই ক্ষুদ্র ব্যবসা দিয়েই তার ৫ জনের সংসার চলে। ব্যবসার এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি খুব কষ্টে আছেন। শুধু নগরীর ব্যবসায়ীরাই নয়, বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।