সিইও পদ ছাড়ছেন অ্যামাজনের জেফ বেজস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
সিইও পদ ছাড়ছেন অ্যামাজনের জেফ বেজস

বিশ্বের অন্যতম বড় কোম্পানি অ্যামাজনের সিইও পদ ছাড়ছেন জেফ বেজোস। এই কোম্পানিই তাকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের কাতারে এনেছে। মঙ্গলবার নিজেই পদ ছেড়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরই শেষের দিকেই হয়তো এই কথার বাস্তবায়ন করবেন বেজোস। খবর সিএনবিসির


অ্যামাজনের কর্মীদের একটি চিঠি লিখে নিজের সরে যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন জেফ বেজস। তিনি বলেছেন, অ্যামাজনের বেশ কিছু কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকবেন। কিন্তু এরপর নিজের সংস্থা ‘ডে ওয়ান ফান্ড’ ও ‘বেজস আর্থ ফান্ডের’ জন্য বেশি সময় দেবেন।


সেইসঙ্গে মহাকাশ ও সংবাদমাধ্যমের দিকেও তার আগ্রহ আরও একটি ঝালিয়ে নিতে চান তিনি।খবরে বলা হয়েছে, অ্যামাজনের শীর্ষ পদে বসাতে পারেন অ্যান্ডি জেসিকে। তিনি এই মুহূর্তে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের দায়িত্বে রয়েছেন।


১৯৯৭ সালে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে অ্যামাজনে যোগ দেন জ্যাসি। কোম্পানিকে বড় করার পিছনে তারও যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েই বেজস বলেছেন, 'অ্যান্ডিকে কোম্পানির সবাই চেনে। আমি যতদিন ধরে রয়েছি প্রায় ততদিন ধরেই ও রয়েছে। আমি জানি ও খুব ভালভাবে এই দায়িত্ব সামলাবে। ওর উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই মুহূর্তে আমি মনে করি অ্যামাজনের আরও বড় হওয়ার সময় এসেছে।'


করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বের তাবড় কোম্পানি যেখানে টিকে থাকতে লড়াই করেছে, তখন ডানা মেলে উড়েছে বেজসের অ্যামাজন। লকডাউনের ফলে ওয়েব সিরিজের দর্শক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ৭.২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেজসের লাভের পরিমাণ এক ধাক্কায় ১২৫.৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।


৫৭ বছরের জেফ বেজস ১৯৯৪ সালে নিজের গ্যারাজে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠা করেন। ধীরে ধীরে এত বছরে রিটেইলের দুনিয়ায় সবথেকে বড় নাম অ্যামাজন। সব ধরনের সামগ্রী ঘরে বসেই পাওয়া যায়। অবশ্য শুধু অ্যামাজন নয়, ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ সংবাদপত্র ও ‘ব্লু অরিজিন’ স্পেস ফার্মও রয়েছে তার। সেই দু’দিকেই এবার বেশি নজর দিতে বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।