প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১২:২০
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সরকারি কর্মচারীরা টানা তৃতীয় দিন সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের বাদামতলায় তারা একত্রিত হয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করেন। এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গত রবিবারও কর্মচারীরা একই স্থানে মিছিল ও বিক্ষোভ করে তাদের প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন। কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক’ ও ‘কালাকানুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের জোর দাবি তুলেছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা জানান, এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে সরকার তাদের অধিকার হরণ করছে। তারা বলছেন, ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিশেষ বিধানকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ইতোমধ্যে বাতিল করেছেন। নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সেই বাতিল বিধান পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সরকার ও কর্মচারীদের মধ্যে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করবে। এই অধ্যাদেশের কারণে কর্মচারীরা কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়বেন বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সরকারি কর্মচারীদের রেশন ও সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতেও তাদের আন্দোলন জোরদার হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলেন, এই অধ্যাদেশ না তুলে নেওয়া হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি নেবেন। প্রয়োজনে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের সব কক্ষে তালা দিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
গত রবিবার সকালে সচিবালয়ে কর্মচারী সংগঠনগুলোর নেতারা এক প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। ওই মিছিল সচিবালয় প্রদক্ষিণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দাবিগুলো স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, সরকারি চাকরির ওপর নতুন করে আনা বিধান কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে দমন ও নিপীড়ন বাড়াবে।
সরকারি কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশ বাতিল না হলে তীব্র আন্দোলনে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা সরকারের কাছে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিক্ষোভে তাদের একত্রিত হয়ে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া থেকে স্পষ্ট যে, সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আন্দোলন আরও ব্যাপক ও তীব্র রূপ নেবে।