প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ২০:৭
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া বিক্ষোভ নিয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। ডিএনসিসির দাবি, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১৮ মে নুরুল হক নুর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে ফোন করে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রকৌশলী আইনি সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করলেও নুর কোনো ব্যাখ্যায় গুরুত্ব না দিয়ে সরাসরি কাজ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং অফিসে তালা দেওয়ার হুমকি দেন।
এ ঘটনার রেশ ধরে ২১ মে বিকাল ৩টায় গুলশান-২ এর নগর ভবনের সামনে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয় এবং ডিএনসিসির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় বলে দাবি করে করপোরেশন।
ডিএনসিসি বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নুরের সঙ্গে প্রকৌশলীর কথোপকথনের কল লিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, ১৭ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত একাধিকবার কল ও মেসেজ চালাচালি হয়েছে। এক মেসেজে নির্দিষ্ট তারিখ ও কাজের কোড নম্বর উল্লেখ করে একটি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধও করেন নুর।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে তারা শিগগিরই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি জানা যায়, ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। তারা প্রশাসকের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ও প্রশাসনিক অস্বস্তি দুই-ই বাড়ছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে উভয় পক্ষের বক্তব্য ও তথ্য বিশ্লেষণ এখন সময়ের দাবি।