ঈদযাত্রায় দীর্ঘদিন পর ভোগান্তিহীন পরিবহন ব্যবস্থা দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, গত ২০ বছরে এত স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হয়নি। রোববার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে সরকার এককভাবে নয়, সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে। সড়ক বিভাগ, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একযোগে দায়িত্ব পালন করেছে। ফলে মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকরা অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তারা পূর্ণ সহযোগিতা করায় এবার সড়কে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়নি। পরিবহন খাতের সবাই যদি এভাবে একসঙ্গে কাজ করে, ভবিষ্যতেও স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এ সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন বলেন, সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, মালিক-শ্রমিক, বিআরটিএ সবাই একসঙ্গে কাজ করেছে। এ কারণেই এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বাস টার্মিনালে বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি বিশেষ নজরদারির জন্য ভিজিলেন্স টিম কাজ করেছে। এর ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, টিকেট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানির ঘটনা তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে।
গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
ঈদযাত্রার নিরাপত্তা ও স্বস্তি বজায় রাখতে পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিয়মিত সমন্বয় সভা করা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে।
যাত্রীরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রাস্তায় যানজট কম ছিল। বাসগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছেড়ে গেছে, অতিরিক্ত ভাড়ার ঝামেলাও ছিল না। ফলে তারা সহজেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।