মঙ্গলবার ইসরাইলের মন্ত্রিসভায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ, বিশেষ করে জাতিসংঘ, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ইতালি আশা করছে, ইসরাইল এই প্রস্তাবে সম্মত হবে। তবে এর আগে, লেবাননে ইসরাইলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতির কারণ হচ্ছে।
এদিন, সোমবার, ইসরাইল লেবাননের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায়, যার ফলে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামলাগুলি দক্ষিণ লেবানন, হারেট, রেইক এবং শিয়াহ এলাকায় পরিচালিত হয়, এবং অধিকাংশ মৃত্যুই ঘটেছে দক্ষিণ লেবাননে। লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরাইলের সেনা দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহর অন্তত ২৫টি ঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তবে, প্রতিরোধে থেমে নেই হিজবুল্লাহ। সোমবার তারা ইসরাইলের সীমান্তে একাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে। এর আগেও রোববার হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে ২৫০টি রকেট ছুঁড়ে, যা দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে।
সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে এমন এক মুহূর্তে, বিশ্ব নেতারা পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান চাচ্ছেন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির পাশাপাশি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ও ইতালির নেতারা আশা করছেন যে, ইসরাইল এবার হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করবে। সোমবার, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি গণমাধ্যমকে জানান, "আমাদের ধারণা, সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাবটি এবার কার্যকর হবে, কারণ বহুদিন ধরে এটি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এখন ইসরাইল সহমত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।"
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়েরবকও আশাবাদী, তিনি বলেছেন, "আগের আলোচনাগুলির তুলনায় এবারের আলোচনা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়েছে এবং সমস্যার সমাধান পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।"
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁও সংঘর্ষ-বিরতি আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, "হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে এক ভালো জায়গায় পৌঁছেছে। দুই পক্ষকেই এখন আলোচনার ফলস্বরূপ এই প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত।"
এদিকে, এটি মনে রাখতে হবে যে, এর আগেও ইসরাইলের মন্ত্রিসভা সংঘর্ষ-বিরতির জন্য আলোচনা করেছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সমাধান আসেনি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, আন্তর্জাতিক সমাজ সংঘর্ষ থামানোর জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ আশা করছে, যাতে এই দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটের সমাধান সম্ভব হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।