খাগড়াছড়িতে টেকনোলজিস্ট–ফার্মাসিস্টদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

দাবিদাররা জানান, স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ—রোগ নির্ণয়, বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা, রেডিওথেরাপি, ফিজিওথেরাপি, ডেন্টাল সার্ভিস, ঔষধ ব্যবস্থাপনা ও বিতরণ—এসব কাজ তারা বহু বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, নার্স এবং কৃষিবিদরা ইতোমধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণীর ১০ম গ্রেডে উন্নীত হলেও তাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় কাজ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।

তাদের দাবি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, ৩ ডিসেম্বর ও ১১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বরাবর ১০ম গ্রেড প্রদানের প্রস্তাবনা পাঠায়। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর ২০২৫ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রশাসন–১ শাখা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট ফাইল প্রেরণ করা হয়। কিন্তু বছরজুড়ে দাপ্তরিক জটিলতা, প্রভাবশালী মহলের চাপ ও লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের কারণে বিষয়টি বাস্তবায়নে অগ্রগতি দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারীরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন সারাদেশের সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ সংসদ ও সচিবালয়ের মেডিকেল সেন্টারের টেকনোলজিস্ট–ফার্মাসিস্টরা এই দাবিতে একাত্ম। তাদের দাবি—১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন ছাড়া বিকল্প নেই। তারা আরও জানান, দাবি পূরণে দ্রুত উদ্যোগ না নেওয়া হলে আগামীকাল থেকে ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।