কাজী ইরাদত আলীর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ, ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২৭ নভেম্বর ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ মানিলন্ডারিং আইনের অধীনে তদন্ত পরিচালনা করেন। তদন্তে কাজী ইরাদত আলীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬৫ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৩ টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযোগে বলা হয়, তদন্ত চলাকালে তিনি এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সম্পদ হস্তান্তর বা বিক্রয় করার চেষ্টা করছিলেন, যা রাষ্ট্রীয় স্বার্থের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। এই প্রেক্ষিতে দুদক আদালতে সম্পদ ক্রোক ও হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করে।

আদালত যে সম্পদগুলো ক্রোক বা অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে—কাজী ইরাদত আলী, তার স্ত্রী রাবেয়া পারভীন, ছেলে ও মেয়ের ৪৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ছেলে কাজী রবিকুল হোসেন ও পুত্রবধূ আফসানা নাওমীর চারটি সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ১০টি ব্যাংক হিসাব, সাতটি গাড়ি এবং গোল্ডেশিয়া জুট মিলসহ ৪৭টি দলিলভুক্ত সম্পত্তি।

অভিযুক্ত কাজী ইরাদত আলীর বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে দুদক। এ ঘটনাকে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় আলোড়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।