সলঙ্গায় ভ্যানচালক আমিনুলের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

মিছিলটি অলিদহ বাজার ঘুরে মাছ বাজারে গিয়ে শেষ হয়। সর্বস্তরের জনসাধারণের  অংশ গ্রহণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা, অটো-ভ্যানচালক আমিনুল ইসলামের খুনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানায়। 

অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম নিহত আমিনুল ইসলাম জীবিকার তাগিদে অটো-ভ্যান নিয়ে গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আর বাড়ি ফেরে নাই। এই ঘটনায় আমিনুল ইসলামের মা আমিনা বেগম সলঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৮ অক্টোবর পাশের গ্রাম চকনিহালের একটি ডোবা থেকে মৃত মানুষের খন্ড হাড় উদ্ধার করা হয়। পরে আমিনুলের মা প্যান্ট ও জামা দেখে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। এই ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ৫ নভেম্বর তিনজন কে গ্রেফতার করে সেই সাথে উদ্ধার করে অটো-ভ্যানের যন্ত্রাংশ। পুলিশের ধারনা অটোভ্যানের জন্যই হত্যা করা হয়েছে অটোচালক আমিনুল ইসলাম কে। 

এ বিষয়ে  আসামীরাও  আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।

 নিহত আমিনুল ইসলামের মা জানান,গত রমজান মাসে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুই সন্তান রেখে মারা যায় আমিনুলের বাবা। এরপর সংসারের হাল ধরতে কিশোর আমিনুল অটো-ভ্যান চালানো শুরু করেন। আগস্ট মাসে বাড়ি থেকে অটো নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। আমরা সলঙ্গা থানায় জিডি করি। পরে কললিস্ট দেখে সলঙ্গা থানা পুলিশ সাহেব আলী নামে একজন কে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ডিবি পুলিশ ঐ সাহেব আলী কে আটক করেই উদ্ধার করেছে অটো-ভ্যান। আমি আমার ছেলে হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। আমিনুলের ছোট ভাই জানায়,বড় ভাইয়ের ইনকামে আমাদের সংসার চলত, তাকে হত্যা করে আমাদের মহা বিপদে যারা ফেলেছে তাদের শাস্তি চাই। অটোভ্যান নিয়ে যদি আমার ভাইকে বাঁচিয়ে রাখতো তাহলে আমাদের এই ক্ষতি হতো না।