জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে সমিরণ নেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অর্থ আত্মসাৎ,অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকরা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক স্লিপের বরাদ্দকৃত অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদরে শিখনে কোন কাজে ব্যয় না করে সিংহভাগ অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয় চলাকালে প্রতিদিন বিকাল ৩ টার পরে ক্লাস না হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই বাড়িতে চলে যায়। প্রতি বছর ওয়াশ ব্লকের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও টয়লেট পরিস্কার না করায় এবং পানির ট্যাপ না থাকায় শিক্ষার্থীরা তা ব্যবহার করতে পারে না।
বিদ্যালয়ে দপ্তরিকাম নৈশ্যপ্রহরী থাকলেও শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ ও টয়লেট পরিস্কার না করায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করতে হচ্ছে। চারু ও কারু পরীক্ষায় হাতের কাজের নামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিকট থেকে নগদ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
পাঠদান চলাকালে শিক্ষকরা ক্লাসে ঘুমায় এবং মোবাইল নিয়ে ব্যস্থ থাকে। অধিকাংশ শিক্ষক ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান বিধায় ক্লাসে পাঠদানে মনোনিবেশ করেন না। বিশুদ্ধ খাবার পানি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পান করলেও কোমলমতি বাচ্চাদের সাপ্লাই টেংকির পানি পান করতে বাধ্য করে থাকেন। এসব সমস্যাগুলোর আলোকে প্রধান শিক্ষককে কিছু বললে তিনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচারণ করে থাকেন।
বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুক্তা বানু বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার পরিচয় দিয়ে আসছেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ, সরকারি অনুদান ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণভিত্তিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করে থাকেন। ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসককের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাজিব হাসান, মোঃ গোলাম রববানী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোছা: সুমা, মো: মশিউর রহমান নামে ৫ জন অভিভাবক। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মুক্তা বানু বলেন,অভিযোগগুলো সঠিক নয়, এটা একটা মনগড়া অভিযোগ দিয়েছেন।