কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় এ্যানথ্রাক্স রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী পীরগাছা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় স্থানীয়ভাবে সতর্কতা জারি করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
সরকারি হিসেবে ৪৫৮.৫৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উলিপুর উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গরুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৫টি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে বলে প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার বজরা ইউনিয়নের দুটি পয়েন্টে সচেতনতামূলক আলোচনা ও দুটি পয়েন্টে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর তাপমাত্রা বেশি থাকে, ক্ষুধা মন্দা হয় এবং হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃত গরুর শরীর থেকে রক্তপাত হলে মানুষও আক্রান্ত হতে পারে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছাঃ রেবা বেগম জানান, আক্রান্ত গরু জবাই করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং মৃত পশুকে গভীর গর্তে পুঁতে ফেলতে হবে। অসুস্থ গরুর চামড়া বা মাংস ব্যবহারে বড় বিপদ হতে পারে।
এ সময় মাংস ব্যবসায়ী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ পশুপালকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ আছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ক্যাম্প করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।