প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৮
নোয়াখালীতে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে এক ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস। ইউনিসেফের সহযোগিতায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসউদ ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ঢাকার সহকারী পরিচালক উজ্জ্বল হোসেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক তানভীর মিয়া। বক্তারা বলেন, জেলার ৯টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভায় আগামী ১২ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত একযোগে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এ কর্মসূচি ১৮ দিন চলবে।
প্রথম ১০ দিন জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এই সময়ে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
বক্তারা জানান, টিকাদানের এই বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো হবে। এছাড়া শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার জন্য এ ধরনের কর্মসূচির গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।
সভায় জানানো হয়, ক্যাম্পেইন শেষে এই টিকাদান কার্যক্রমকে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এতে দীর্ঘমেয়াদে জেলার শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।
প্রধান অতিথি ডা. মরিয়ম সিমি বলেন, টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। নিয়মিত টিকাদানের মাধ্যমে এই রোগ থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন ও সহযোগিতাপূর্ণ ভূমিকা রাখা জরুরি।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা স্বাস্থ্য খাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, নোয়াখালীতে এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ভবিষ্যতে টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।