ঝিনাইদহে নিষিদ্ধ গাইডের বাণিজ্যে শিক্ষার অবক্ষয়! চিন্তিত অভিভাবকরা

অভিযোগ রয়েছে, জেলার ৪২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেকেই শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা করে চুক্তি করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে এই গাইড বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারে আর্থিক চাপ বাড়ছে, একই সঙ্গে সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উদয়ন লাইব্রেরির মালিক রাকিবুল ইসলাম রণি একাই ১২টি নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট। তিনি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শতাধিক কোচিং সেন্টারের সঙ্গে ১ থেকে ২ কোটি টাকার চুক্তি করেছেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যেমন—ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ লেকচার কোম্পানি থেকে নিয়েছে ৫ লাখ টাকা, হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একাই লেকচার কোম্পানির কাছ থেকে নিয়েছেন ৩৫ লাখ টাকা।

অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, গাইড বই না কিনলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয় না। একজন অভিভাবক জানান, দশম শ্রেণির সন্তানকে নিষিদ্ধ গাইড কিনতে খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, “এটি সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অবৈধ।” জেলা প্রশাসনও তথ্য-প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষাব্যবস্থার ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?