কালকিনিতে প্রবাসীর স্ত্রী খুন, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাঝের কান্দি গ্রামে সৌদি প্রবাসী সোহাগ হাওলাদারের স্ত্রী পাখি বেগমকে (২৮) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম. সোহেল রানার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার গভীর রাতে নিজ বসতঘরে চার বছরের শিশু সন্তানের সামনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে খুন হন পাখি বেগম। নিহতের মা সারমিন বেগম পরদিন থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। তবে থানায় গিয়ে এজাহারে তিনি দেখতে পান, তার দেয়া নামগুলো বাদ দিয়ে মামলাটি অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে রেকর্ড করা হয়েছে।

বাদি সারমিন বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেয়েকে দীর্ঘদিনের জায়গাজমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সাহাদাত হাওলাদার, ইউনুছ সরদার ও পলি বেগম হত্যা করেছে। তাদের নাম স্পষ্টভাবে বলার পরও মামলায় বাদ রাখা হয়নি। বরং পুলিশ তাদের পক্ষ নিয়েছে।”

প্রবাসী স্বামী সোহাগ হাওলাদার জানান, “আমার চাচা সাহাদাতের সাথে জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই তারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।”

এদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেহেতু মামলাটি অজ্ঞাত আসামির নামে রেকর্ড করা হয়েছে, তাই প্রকৃত অপরাধীরা গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হতে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।

মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, “একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে, খুব শিগগিরই ঘটনার ক্লু পাওয়া যাবে।”

ঘটনাটি নিয়ে কালকিনি জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী মামলার সঠিক তদন্ত ও প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।