রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক অরফে নুরাল পাগলকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে কেবলমাত্র প্রকৃত অভিযুক্তদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ ও ইউএনও'র গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার হয়েছে।
এছাড়াও নুরাল পাগলের ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লার পিতা বাদী হয়ে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা, লাশ পোড়ানো, লুটপাট, জখম, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এর দায়ে সাড়ে ৩ থেকে চার হাজার অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব এক প্রেস নোটে জানান, গ্রেফতার প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে এবং কেবলমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি "গোয়ালন্দে অধিকাংশ মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন নেই" এই শিরোনামের বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও পুলিশ স্পষ্ট করেছে, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই মর্মে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে নিশ্চিত করা যাচ্ছে যে, অযথা নিরপরাধ কোন ব্যক্তি'কে ঢালাওভাবে হয়রানি করার কোন সুযোগ নাই। মামলা সংশ্লিষ্ট গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, এবং কেবলমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত'কে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের গ্রেফতার আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইমামরা যেন স্বাভাবিকভাবে ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন। জেলা পুলিশের অঙ্গীকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।