প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪০
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরসহ নেতা-কর্মীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে গোয়ালন্দে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার আয়োজনে মশাল মিছিল শুরু হয় এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মশাল মিছিলের উদ্দেশ্য ছিল হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা।
রেজা মাহমুদের সভাপতিত্বে মশাল মিছিলের সময় উপস্থিত ছিলেন যুব অধিকার পরিষদ গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল আপন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সাগর শেখ, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজনুর রহমান সাগরসহ অন্যান্য নেতা ও কর্মী। তারা মিছিল চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের শাস্তি দাবির পাশাপাশি দেশের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তারা বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। একই সঙ্গে তারা দেশের জনগণকে সচেতন থাকতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানান।
মশাল মিছিলের সময় শহরের বিভিন্ন অংশে নেতা-কর্মীরা পতাকা এবং ব্যানার হাতে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তারা বলেন, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারবে না এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
এছাড়া, মশাল মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা সাম্প্রতিক হামলা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এবং রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। উপস্থিতরা জোর দিয়ে বলেন, গণঅধিকার ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোনো আপোস করা হবে না।
মশাল মিছিল ও আলোচনা সভা স্থানীয় জনগণ এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য ও সংহতির বার্তা দেয়। তারা বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা প্রতিনিয়ত সচেতনভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। এই প্রতিবাদী কর্মসূচি গোয়ালন্দে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়, তবে বার্তা স্পষ্ট ছিল—নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের দাবি অব্যাহত থাকবে।
প্রদত্ত ঘটনাটি স্থানীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তিশালী প্রকাশ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণও এই মশাল মিছিলের মাধ্যমে সাম্প্রতিক হামলার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ ও সচেতনতা প্রকাশ করেছে।