প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৬
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলবর্তী সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছেঁড়াদ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রসীমা থেকে তিনটি ফিশিং বোটসহ ১৮ জন মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার ভোর রাতে জেলেরা প্রতিদিনের মতো মাছ ধরতে সমুদ্রে যায়। এ সময় হঠাৎ করেই মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিম্মি করে বোট তিনটি টেনে নিয়ে যায়।
অপহৃত বোটগুলো সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের, আলমগীর ও আবসার উদ্দীনের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। প্রতিটি বোটে ছয়জন করে মাঝি-মাল্লা থাকায় মোট ১৮ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
দ্বীপের জেলেদের অভিযোগ, যুগ যুগ ধরে ওই সীমান্তবর্তী সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশি জেলেরা মাছ শিকার করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিয়মিত এভাবে জেলেদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে সাগরপাড়ের মানুষ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি, ভোর রাতে আরাকান আর্মি তিনটি ফিশিং বোটসহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।”
এদিকে পরিবারের সদস্যরা প্রিয়জনদের খোঁজে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। তারা দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
প্রশাসন জানিয়েছে, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এখনো অপহৃতদের উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেও সেন্টমার্টিনের উপকূল থেকে অর্ধশতাধিক জেলেকে ফিশিং বোটসহ ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
আপনি কি চান আমি এই সংবাদের জন্য SEO–উপযোগী ৫–৬টি কীওয়ার্ডও সাজিয়ে দিই, যাতে ওয়েবপেপারে দিলে গুগলে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়?