প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আল রাফি (১১) অপহরণের মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। অভিযানকালে দুইজন অপহরণকারীকে আটক করা হয়। তবে ঘটনাটির মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল মালেক মিয়া (মালু) এখনও পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও সেনা সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকা থেকে আল রাফিকে অপহরণ করে একদল দুর্বৃত্ত। তারা পরে মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর জোন দ্রুত উদ্ধার অভিযানের প্রস্তুতি নেয়।
পানছড়ি আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার বিএ-১১১০৩ ক্যাপ্টেন মাহফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সি-টাইপ টহল দল সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পানছড়ি উপজেলার মোল্লাপাড়া ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে বাদশা মিয়া নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয় এবং আল রাফিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
বাদশা মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই পানছড়ি বাজার থেকে কামরুল হাসানকে আটক করা হয়। আটক দুইজনকে রাত ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশুকে নিরাপদে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতা আঃ মালেক মিয়ার (মালু) গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপহরণকারীদের পরিচয় অনুযায়ী, আঃ মালেক মিয়া (মালু) মোহাম্মদপুর এলাকার আঃ মান্নানের ছেলে এবং মূল পরিকল্পনাকারী। অন্য দুইজন হলেন একই এলাকার আব্দুল রহিমের ছেলে বাদশা মিয়া (২৮) এবং পানছড়ির ইটখোলা এলাকার হানিফ হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান (২৩)।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ ধরনের অপহরণ ও নাশকতার ঘটনা প্রতিরোধে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিশুদের নিরাপদ রাখা এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা।
স্থানীয়রা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই সফল অভিযানের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা আবারও প্রমাণিত হলো।