দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিয়ের ৯ দিন পরে হাতের মেহেদীর রং না শুকাইতেই নতুন বরকে নিয়ে যখন সবাই টিভি দেখছিলেন। তখন পাশের ঘড়ে রহস্যজনক কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুমনা (১৯) নামে এক নববধূ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত অনুমান ১০ টার দিকে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের চৌধুরী গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সুমনা আক্তার ওই ইউনিয়নের চাটশাল সোনারপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই সে তার নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ জানায়, সুমনার বাবা-মা দু'জনে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাই ছোট বেলা থেকেই সে তার নানা-নানীর কাছে থাকতেন। হঠাৎ করে ১৮ আগস্ট সুমনার সাথে পার্শ্ববর্তী চৌরিয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের সাথে বিয়ে হয়। জামাই আব্দুস সোবহান পেশায় একজন কৃষক। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন সুমনা।
মঙ্গলবার সকাল অনুমান ১০ টার দিকে ৯ দিন পর নানার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন সুমনা। রাতে যখন সবাই টিভি দেখছিলেন, তখন সুমনা সকলের অজান্তে পাশের ঘড়ের আড়ার সঙ্গে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন রাত ১২ টার দিকে তাকে গলায় ওরনা পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, কিছু দিন আগে নানা মোজাফফর হোসেন পাশের গ্রামের আব্দুস সোবহানের সাথে তার নাতনি সুমনাকে বিয়ে দেন। মেয়ে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে এ ঘটনা ঘটায়।
তিনি আরও জানান, সুমনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ইতিপূর্বে এক মামাতো ভাইয়ের সাথে সুমনার বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অন্য দিকে আব্দুস সুবহানেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিন মাস পূর্ব আব্দুস সোবহানেরও প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের নতুন বিবাহিত জীবন। আসলে কেন আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান,ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুর কারণ সন্ধানে তদন্ত চলছে।