প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৬
ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শহর উন্নয়ন থেকে শুরু করে জনসেবায় তাঁর কার্যকর উদ্যোগ স্থানীয়দের কাছে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
রাজাপুরের রাস্তাঘাট একসময় অন্ধকারে ঢাকা ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউএনও বিভিন্ন এলাকায় হ্যালোজেন ও স্ট্রিট লাইট বসিয়ে রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। এতে চলাচল সহজ হয়েছে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমেছে।
পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে তিনি ডাস্টবিন স্থাপন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগ করেন। এর ফলে শহরের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সুশৃঙ্খল ও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মানবিক সহায়তায়ও তিনি ভিন্নধর্মী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অসহায় পরিবারের কাছে রাতের আঁধারে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়ে তাদের সম্মান রক্ষা করেছেন। স্থানীয়রা এ ধরনের উদ্যোগকে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে ব্যাডমিন্টনের জন্য একটি ইনডোর কোর্ট নির্মাণ করে তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছেন তিনি। এতে খেলোয়াড়রা সারা বছর অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছেন।
ধর্মীয় সম্প্রীতিতেও তিনি সমানভাবে ভূমিকা রাখছেন। ঈদের সময় ঈদগাহে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে মুসল্লিদের আস্থা অর্জন করেছেন। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে আধুনিক ঈদগাহ নির্মাণও তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে।
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে কবিরাজ বাড়ি খাল খনন ও দখলমুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা চত্বরে সৌন্দর্যবর্ধন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সহজীকরণ এবং আটকে থাকা নামজারি দ্রুত সম্পন্নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ইউএনও রাহুল চন্দ প্রমাণ করেছেন যে প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে উন্নয়ন সম্ভব। তাঁর নেতৃত্বে রাজাপুর এক আধুনিক মডেল উপজেলায় রূপ নিতে পারে বলে আশা করছেন সবাই।