প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ২১:৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি মাছধরা ট্রলার ডুবে যায়। রবিবার ভোররাতে বঙ্গোপসাগরের প্রায় ৯০ কিলোমিটার গভীরে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা ২০ জেলেসহ মাছধরা দল বিপদে পড়ে।
বুধবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের পাইপ বয়া সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধারকর্মীরা ট্রলারের ১৩ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এছাড়াও, নামবিহীন একটি ট্রলার একজন জেলেকে উদ্ধার করে। এদিকে, পায়রা বন্দরের ২০ কিলোমিটার গভীর সাগর থেকে এফবি সাজেদা নামের ট্রলার আরও একজন জেলেকে উদ্ধার করে।
এ দুর্ঘটনায় এখনো ৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু তাহের (৫৫), কামাল (৩৫), রিয়াজ উদ্দিন (২২), তমিজ (১৮) এবং শাহাবুদ্দিন (৪৫)। গুরুতর আহত জেলেদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ এবং আহত সকল জেলেদের মূলত চট্রগ্রামের বাঁশখালি এলাকার বাসিন্দা।
উদ্ধারকৃত জেলেরা জানান, গত শনিবার তারা চট্রগ্রামের বাঁশখালি থেকে ট্রলারে চড়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে যায়। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর তারা প্লাস্টিকের পানির ড্রাম ব্যবহার করে সমুদ্রে দুই দিন ভেসে থাকে। এ অবস্থায় তাদের অবস্থা খুবই বিপজ্জনক ছিল।
স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে এই সময়ে বায়ুর উত্তেজনা ও বড় ঢেউয়ের প্রভাবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
এ ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে আরও কয়েকটি ট্রলার ও রেসকিউ দল সমুদ্র এলাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে দ্রুতই নিখোঁজ জেলেদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।
স্থানীয় মানুষ এবং জেলেদের পরিবারদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই সমুদ্রের বিপদের সাথে পরিচিত হলেও এই ধরনের বড় ঢেউ ও দুর্ঘটনা অপ্রত্যাশিত এবং ভয়ঙ্কর।
সাগরের এই দুর্ঘটনা জেলেদের জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রকৃতিকে আবারও তুলে ধরেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধার দল দ্রুততার সঙ্গে নিখোঁজ জেলেদের খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে তাদের নিরাপদে পরিবারে ফিরিয়ে আনা যায়।