প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য উপকূলে ফিরে এসেছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে উপকূলজুড়ে ভ্যাঁপসা গরম থাকলেও বিকেল থেকে হালকা হাওয়া এবং কিছু এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তাল সমুদ্রের কারণে গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত তীরে ফিরে এসেছে। স্থানীয় নদ-নদীতে এসব ট্রলার নিরাপদে নোঙর করেছে। মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে শতাধিক ট্রলার ঘাটে নোঙর করেছে। স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সমুদ্র উত্তাল হয়ে যাওয়ায় তারা ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদ স্থানে ফিরে এসেছে।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি জলিল ঘরামী বলেন, সমুদ্রে লঘুচাপের প্রভাবে ঢেউ অত্যন্ত তীব্র হয়েছে। ট্রলারগুলো ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে ঘাটে এসেছে। তিনি আরও জানান, উপকূলের জেলেরা সমুদ্রের বিপদের খবর পেয়ে পূর্বে সতর্ক হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, লঘুচাপের কারণে উপকূলজুড়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতও অব্যাহত থাকবে। তিনি সবাইকে নিরাপদে থাকার জন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন।
উপকূলীয় এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলেদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে ট্রলার রাখার পাশাপাশি নৌযান ও জাহাজগুলোকেও ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রে যাত্রা না করার জন্য বলা হয়েছে।
জেলেরা জানিয়েছে, লঘুচাপের সময় সমুদ্রের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই সময়ে মাছ ধরা বা নৌযান চালানো জীবনহানির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই তারা উপকূলে ফিরে আসে এবং নিরাপদ আশ্রয় নেয়।
উপকূলের মানুষ ও মৎস্যজীবীদের জন্য আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা এ সতর্কতা মেনে চললে ঝুঁকি কমানো সম্ভব। স্থানীয় প্রশাসনও পরিস্থিতি নজরে রেখেছে এবং প্রয়োজনে জরুরি সহায়তা দেবে।
মোটকথা, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি হয়েছে। জেলেরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে আবহাওয়া পরিস্থিতি কেমন হবে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।