প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩৪
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক কামাল আর নেই। বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি এলাকায় একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শোকবার্তায় তিনি বলেন, মরহুম আনোয়ারুল হক কামাল সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি নোয়াখালী জেলা ও সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবে না।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন যেন তাকে জান্নাত নসীব করেন।
এছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন পৃথক শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা মরহুমকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, তার মৃত্যুতে সংগঠন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
নেতৃবৃন্দ শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানান। তারা মনে করেন, তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও নিষ্ঠা তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আনোয়ারুল হক কামালের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল স্থানীয় পর্যায়ে। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে জনমনে স্থান করে নেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার মারজানুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, তিনি ছিলেন একজন সহজ-সরল ও মানবিক নেতা, যিনি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের আবহ নেমে আসে।