প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৫১
গাজীপুরের সাহসী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মাদারীপুরের কালকিনিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে স্থানীয় সাংবাদিকরা এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। তারা তুহিন হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে কালকিনি ও ডাসার উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুগান্তরের এইচ এম মিলন, জনকণ্ঠের মো. জাফরুল হাসান, রূপালী বাংলাদেশের নাসিরউদ্দিন ফকির লিটন, আনন্দ টিভির ম.ম. হারু, মাই টিভির জিয়াউদ্দিন লিয়াকত, সংবাদ পত্রিকার আশরাফুর রহমান হাকিম প্রমুখ। তারা বলেন, একজন সাহসী সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যার এই ঘটনায় শাস্তি না হলে সাংবাদিকতা পেশার নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে না।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সমাজের সত্য তুলে ধরা, দুর্নীতি, অপরাধ ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি হওয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য। তারা সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি রোধ করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন সংবাদকর্মী আশরাফুর রহমান হাকিম, স্বদেশ প্রতিদিনের সাহাদত হোসেন ওয়াসিম, সাংবাদিক আবির হাসান পারভেজ, একুশে টিভির রকিবুজ্জামান, এশিয়ান টিভির শাহজালাল, চ্যানেল এস টিভির ইব্রাহিম সবুজ সহ আরও অনেকে। তারা একযোগে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া, তারা দেশের সকল সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজের সকল স্তরের মানুষের দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
মানববন্ধনের সমাপ্তিতে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার ও সুষ্ঠু শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন। তারা আশা করেন এই ধরনের ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে এবং সাংবাদিকরা নিরাপদে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
এভাবেই কালকিনিতে তুহিন হত্যার প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের মাধ্যমে তাদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করেছে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে সমাজের অন্যায় ও দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে কন্ঠস্বর উঠে এসেছে।