প্রকাশ: ৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৮
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের ডিসি পার্ক সংলগ্ন সমুদ্রসীমায় ভেসে এসেছে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার এবং নিখোঁজ এক জেলের মরদেহ। নিহত জেলের নাম ইদ্রিস (৫০), যার বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার মধুখালী গ্রামে। খবর পেয়ে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা ট্রলার ও লাশটি ভাসতে দেখে কুয়াকাটা নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ইদ্রিসের পরনে একটি লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট ছিল। তার ভাতিজা সাগর পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন।
সাগর জানান, ২৬ জুলাই সকালে ট্রলারটি মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে রওনা দেয়। তিনি নিজেও ঐ ট্রলারে ছিলেন এবং তার চাচা ইদ্রিসও তখন ট্রলারে ছিলেন। সেদিন সকাল ১০টার দিকে শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীরে প্রবল ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ট্রলারে থাকা মোট ১৫ জন জেলের মধ্যে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ১ আগস্ট কুয়াকাটা উপকূল থেকে নজরুল ইসলাম নামে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুইজনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ট্রলারের মাঝি আবদুর রশিদ ও রফিকসহ আরও তিনজন।
জেলেরা জানান, জাল ফেলার কিছু সময় পরেই হঠাৎ এক দমকা ঝড় ও বিশাল ঢেউয়ের মুখে পড়ে ট্রলারটি। ট্রলারটি মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে ডুবে যায়। বাঁশ ও ফ্লুট ধরে ১৪ জন সাগরে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন। তবে পরবর্তীতে আরও পাঁচজন নিখোঁজ হন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ৯ জনকে সোমবার রাতে দুটি আলাদা মাছ ধরার ট্রলার উদ্ধার করে মহিপুর মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসে। পরে আরও একজনকে উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী।
নৌ পুলিশ জানায়, মরদেহের সুরতহাল শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।