প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩০
বিএনপি জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এটিকে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের পথনির্দেশনা হিসেবে দেখছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে নতুন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিকে নির্বাচনের সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণের ঘোষণা বিএনপি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। গণতন্ত্রহীনতা, ভোটাধিকার হরণ, গুম-খুন ও দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে বিএনপি এবং দেশের মানুষ এক অনিশ্চিত পরিস্থিতি পার করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া লক্ষাধিক মামলা, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা এসবই ছিল একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই জাতি নতুন আশা দেখতে শুরু করে এবং গণতান্ত্রিক চেতনা পুনর্জাগরিত হয়। এরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন।
বিএনপি মনে করে, এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি জানান, লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠকের ফলেই নির্বাচনকাল নির্ধারণের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এসেছে। বিএনপি প্রত্যাশা করে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে গত এক বছরে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে বলেই বিএনপি আশা করছে।