প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৯:১৮
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে নিখোঁজ হওয়া মাদরাসা ছাত্র সাহাদাত হোসেন সজিবের (১৪) তিনদিন পর রুহুল আমিন ড্রাইভার পুকুর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই মাদরাসার আরেক ছাত্র মো. রনি (১৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সজিবকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার সাথে রনির জড়িত থাকার সন্দেহ করা হচ্ছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে নিহত সজিবের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয়রা রুহুল আমিন ড্রাইভার পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে জানায়। সজিব ওই এলাকার কাশিপুর গ্রামের লস্কর বাড়ির মৃত শওকত আলীর ছেলে এবং স্থানীয় কাশিপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। অন্যদিকে আটক মো. রনি একই মাদরাসার ছাত্র এবং একই গ্রামের মো. রুবেলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র এবং পুলিশ বলছে, গত রোববার থেকে সজিব নিখোঁজ ছিল। তার বাড়ির সামনে একটি রিকশা গ্যারেজ রয়েছে, যেখানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে সজিব ও রনি নৌকায় করে রুহুল আমিন ড্রাইভারের বাড়ির পাশে বাগানে বক পাখি ধরতে গিয়েছিল। সেখানে পৌনে তিন ঘণ্টা পর রনি একা ফিরে আসেন, কিন্তু সজিব ফিরে আসেননি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়, তবে তাকে খুঁজে পায়নি। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে সজিবের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, দুই বন্ধু একসঙ্গে বক ধরতে গিয়েছিল। রনি গাছে ওঠে, সজিব নিচে দাঁড়িয়ে ছিল। একপর্যায়ে রনি গাছ থেকে নেমে বাড়ি চলে আসে এবং সজিবকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের কাছে যায়নি। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা মনে হচ্ছে মাথায় প্রহার হয়েছে। এজন্য রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি। তিনি আরও জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ ও বিচলনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত ন্যায়বিচার দাবি করছেন এবং হত্যার পেছনে রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছেন।