প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪১
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ক্লোজার এলাকায় বামনী নদীর পাড়ে এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কচ্ছপদের খামারের পাশের একটি ব্লকের ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি দেখা যায়। মৃত যুবকের পরনে ছিল লাল রঙের টি-শার্ট ও সাদা পায়জামা। স্থানীয় লোকজন প্রথমে মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দিলে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, মরদেহটি ৪-৫ দিন আগের হতে পারে, কারণ যুবকের শরীর ফুলে গেছে। তবে মরদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। মরদেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, যুবকটি দুর্ঘটনাবশত নদীতে পড়ে মারা যেতে পারে অথবা এটি পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে। তবে পুলিশ এখনই কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি এবং মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার জন্য পুলিশ আশেপাশের থানাগুলোতে তথ্য পাঠিয়েছে এবং সম্ভাব্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি এবং যদি এটি কোনো অপরাধজনিত মৃত্যু হয়ে থাকে তবে দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে নিহত যুবকের পরিচয় জানার জন্য পুলিশ সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে। কেউ যদি ওই যুবকের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানেন তাহলে কোম্পানীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।