প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১৬:৫৯
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরদ্দি ইউনিয়নের চরআতাউর এলাকায় ভূমিহীন ও কৃষকদের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি স্মারকলিপি জমা দেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনের কাছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চরআতাউরের ভূমিহীন বাসিন্দারা বর্ষা মৌসুমে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় চাষাবাদ শুরু করেন। তবে স্থানীয় একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি—তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নিজাম চৌধুরী, শামীম উদ্দিন ও আলমগীর কবির—এই চরে দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে তাদেরকে চাঁদা না দিলে চাষাবাদ বন্ধ করার হুমকি দেন। এদের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় মামলাও হয়েছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ওই প্রভাবশালী গোষ্ঠী তমরদ্দি ঘাট থেকে লোক ভাড়া করে চরে একটি মানববন্ধনের নামে নিজেদের উপস্থিতি দেখিয়ে চর দখলের ষড়যন্ত্র করছে। এতে প্রকৃত ভূমিহীনদের কাউকে রাখা হয়নি। বক্তারা বলেন, পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং দিনদিন হুমকি ও হয়রানি বাড়াচ্ছে।
এ সময় মানববন্ধনে ভূমিহীন নেতা খোকন, কৃষকদল নেতা মো. রুবেল, আক্তার হোসেন ও মো. রহিম অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর ধরে এই চরে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও এখন তাদের জীবন ও জমি দুটোই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, অভিযুক্তদের একজন নিজাম চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং প্রকৃত দখলদারিত্ব সম্পর্কে কেউ কিছুই জানে না।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, চর আতাউরে বৈধ কাগজপত্র নেই এমন কেউ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে, তা মেনে নেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে এলাকায় মাইকিং ও গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, অবৈধভাবে দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চরের মালিকানা নিয়ে জটিলতা, চাঁদাবাজির অভিযোগ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে চরবাসীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং দ্রুত সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।
মেটা কী-ওয়ার্ডস: