প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ১১:১
ফেনীতে টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে আসা ঢলের ফলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৪টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই উপজেলার বহু এলাকায় ঘরবাড়ি,
রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পরশুরাম উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরশুরামের জঙ্গলঘোনা, অলকা, শালধর, গদানগর ও সাতকুচিয়াসহ ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর, দৌলতপুর ও দেড়পড়া এলাকায় বড় ধরনের ভাঙন হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। পরশুরাম উপজেলার বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ
বৃষ্টি আজ ও আগামীকালও অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ছয়টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে এবং পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে, ফলে আরও ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলগাজী ও পরশুরামে মোট ১৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং দুর্গতদের মধ্যে ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণসহ রান্না করা খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।